Recipes, Baby Food Recipes

শিশুর ডায়রিয়ায় চিকেন পরিজ

উপকরণঃ
★চিকেন ২ পিস (ছোট)
★কাঁচাকলা অর্ধেক (ছোট টুকরো করা)/গ্রিন ব্যানানা সিরিয়াল
★পোলাও চাল ২ চা চামচ(সিরিয়াল দিলে চাল লাগবেনা)
★দারুচিনি ১ টুকরা(ছোট)
★এলাচ ১ টা
★আঁদা ১/৩ ইঞ্চি পরিমাণ
★পেঁয়াজ কুঁচি ১/৪ চা চামচ
★লবণ প্রয়োজনমত
★হলুদ গুড়া ১/৪ চা চামচ
★তেল প্রয়োজনমত

পদ্ধতিঃ
★চিকেন পিস শিল দিয়ে ছেঁচে নিতে হবে।
★পোলাও চাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
★প্যানে ১-২ চা চামচ তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ,আঁদা, গরম মশলা দিয়ে একটু নেড়ে নিতে হবে।
★পেঁয়াজ বাদামি কালার হলে তাতে হলুদ গুড়া,ধুয়ে রাখা টুকরো করা কাঁচাকলা,পোলাও চাল,চিকেন,লবণ দিয়ে একটু কষাতে হবে।(১ মিনিট)
★গ্রিন ব্যানানা সিরিয়াল ব্যবহার করলে শুধুমাত্র চিকেন কষাতে হবে।এরপর সিরিয়াল দিয়ে পানি দিতে হবে।
★কষানো হলে পানি দিয়ে ঢেকে সিদ্ধ করতে হবে।
★সব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে যতটুকু একবারে খাওয়াবেন(১-২ বা ৩ টে.চামচ) ততটুকু বোলে নিয়ে চামচ দিয়ে ম্যাশ করে নিতে হবে।সিরিয়াল দিলে আর ম্যাশ করার ঝামেলা লাগবেনা।
★পানি বা ঝোলের পরিমাণ যেন স্যুপের মত বা একটু ঘন থাকে।ঝোল সহ ম্যাশ করে(আস্ত চিকেন না,চিকেনের সিদ্ধ হওয়া পানিতেই প্রয়োজনীয় সব উপকরণ পাওয়া যায়।) সেই ঘন স্যুপ বা পাতলা পরিজ অল্প অল্প করে শিশুকে সহনীয় তাপমাত্রায় খাওয়াতে হবে।

✅সময় কম থাকলে বা ব্যস্ত থাকলে আমার তৈরি Green Banana Cereal দিয়েও একই নিয়মে স্যুপ/পরিজ তৈরি করতে পারেন।সেক্ষেত্রে পোলাও চাল আর কাঁচাকলার প্রয়োজন নেই।

✅ডায়রিয়ায় এটি খুবই কার্যকরী খাবার।আমার এই রেসিপি আমার ছেলের পেডিয়াট্রিকও খুব পছন্দ করেছেন,বিশেষকরে, পোলাও চাল,কাঁচাকলা এবং চিকেনের সাথে আঁদার বিষয়টা।কেননা আঁদা পেটের গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে।ডায়রিয়ার সময় পেটে গ্যাস সমস্যা থাকলেও তা দূর হবে।কাঁচাকলার আয়রন, চিকেন থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিউপকরণ,পোলাও চালের কার্বস।কেননা আঁদা পেটের গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে।ডায়রিয়ার সময় পেটে গ্যাস সমস্যা থাকলেও তা দূর হবে।

✅শিশুকে একবারে বেশি খাওয়াবেন বা।অল্প অল্প তরল খাবার বারবার।তরল বলতে সিধা পানি না কিন্তু🙄।পানীয় জাতীয় খাবার।সাথে ওরস্যালাইন এবং ডাক্তার যেভাবে বলেন সেভাবে।

✅চিকেন হ্যান্ডেল করার সময় হাইজেনিটি মেইনটেইন করবেন।চিকেন ডেঞ্জারাস হতে পারে।আগের পোস্টে উল্লেখ করেছি।

✅কাঁচাকলার আয়রন ডায়রিয়াতে দারুণ কার্যকরী।শিশু যেন পানিশূণ্যতায় না ভোগে খেয়াল রাখবেন।প্রস্রাবের পরিমাণ যেন দিনে অন্তত ৬ বার হয়।এর কম হলে ডাক্তারের কাছে যাবেন ইমেডিয়েটলি।

এটারও ছবি তুলতে পারিনি।এটেনশনের জন্য ভিন্ন ছবি দিতে হচ্ছে।ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে নেওয়া কাঁচাকলা🤦‍♀️

Leave a Reply

Your email address will not be published.