Couscous/কুসকুসঃ
বয়সঃ ৬+ মাস থেকে যেকোন বয়স/বড়রাও ভাতের পরিবর্তে খেতে পারেন।
বাচ্চাদের জন্য ইন্সট্যান্ট ফুড মায়েদের জন্য ভীষণ স্বস্তিদায়ক বিষয়,যদি তা হয় আরও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ,মজার তাহলে তো কথাই নেই।আমার নিজের ছেলের জন্যও ইন্সট্যান্ট ফুড তৈরি করে রাখতে হয়।রান্নার ঝামেলা নেই,ঝটপট গরম পানি বা দুধ বা স্টক ঢালো,মিক্স কর আর রেডী টু ইট।
তেমনি এক ইন্সট্যান্ট ফুড হচ্ছে এই কুসকুস।মূলতঃ Durum জাতের গমকে স্টিম এবং প্রসেস করে দানাদার কুসকুস রূপ দেওয়া হয়।ভাত,রুটি বা পাস্তার বিকল্প খাবার।এটি রান্না করতে হয়না,ধুতে হয়না।আমি যেটা এনেছি এটা মেইড ইন ইতালি।প্যাকের গায়েই দেখা যায়।জাস্ট ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে নিয়ে ৩-৪ মিনিট ঢেকে রাখলেই তৈরী!
কুসকুস একটি নিম্ন ক্যালরিসম্পন্ন কার্ব বেইজড খাবার।তবে এতে প্রোটিন,এক্সঅক্সিডেন্ট,ফ্যাট,জিংক বেশ ভালো পরিমাণে আছে।এবং উচ্চ সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ,তবে ফাইবার কম থাকে।
সেলেনিয়াম মূলতঃ আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে।চুলের গ্রোথ,মানসিক প্রফুল্লতা,অবসাদের সাথেও সেলেনিয়াম জড়িত।
শিশুদের জন্য কুসকুস বেশ ভালো একটি খাবার।মেডিটেরানিয়ান অঞ্চলের হলেও এটি এখন বিশ্বব্যাপী খাওয়া হয়।
কুসকুস যেভাবে খাওয়া যায়ঃ
★সবজি,মাছ,চিকেন/বিফ/মাটন স্টক, কিমা বা গোস্তের সাথে।(আগে এসব রান্না করে নিতে হবে)
★ফ্রুট পিওরি,টুকরো ফলের সাথে।
★দুধ,টকদই,চিজের সাথে।
★সালাদ হিসেবে।
★পায়েস হিসেবে।
★লো ক্যালরি হওয়ায় ডায়েটের জন্যও উপকারি।
★ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারি।
সতর্কতাঃ কুসকুস গ্লুটেনফ্রি ফুড নয়,তাই গ্লুটেনে(গরম,বার্লি জাতীয় খাবারে) এলার্জিজনিত সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে পরিহার করা উচিত।
৫০০ গ্রামের প্যাকেট ইনটেক আসে,তবে কেউ চাইলে ২৫০ গ্রামও নিতে পারেন।প্যাকেট খুলে ফুডগ্রেড ফয়েল প্যাকে দেওয়া হবে সেক্ষেত্রে।
কুসকুস কিভাবে রান্না করতে হয় তার বিভিন্ন রেসিপি আইডিয়া পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ
রেসিপি ভিডিও দেখতেঃ
কুসকুস দিয়ে আমাদের ক্লায়েন্ট আপুর তার বেবীর জন্য তৈরি রেসিপিঃ
Reviews
There are no reviews yet.