Recipes, Baby Food Recipes

শিশুর ট্র্যাভেল ফ্রেন্ডলি খাবার

হাছন রাজার ছেলে দেওয়ান গনিউর রাজা একটু আমুদে স্বভাবের লোক ছিলেন।১৮৯২ সালে তিনি একবার ঢাকায় এলেন।এসেই তো চোঁখ ছানাবড়া!একি কান্ড,সারা ঢাকা জুড়ে রীতিমত উৎসব উৎসব ভাব,হৈ হুল্লোড়।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আহসান মঞ্জিলের নবাব আহসান উল্লাহ আমেরিকা থেকে এক বিদেশী বেলুনওয়ালী মেমসাহেবকে নিয়ে এসেছেন ভাড়া করে।

সেসময়ে তখনও এখনকার মত এরোপ্লেনের চল শুরু হয়নি।রাইট ভাইয়েরা এরোপ্লেন উড়ায় ১৯০৩ সালে।আর এটা হল ১৮৯২ এর ঘটনা। সেসময়ে বিমান না থাকলেও লোকজন হট বেলুনে করে কিছুক্ষণের জন্য আকাশে ভেসে থাকতে পারতো।আর ঢাকা বাসীর জন্য এহেন কীর্তি ছিল কেবলই লোকমুখে শোনা কথার মত,চোঁখে দেখার নয়।তাই ঢাকার বাসিন্দাদের এই বিস্ময়কর বেলুনে উড়া দেখাতে নবাব আহসান উল্লাহ জেনেট ভ্যান টাসেল নামের বেলুনিস্টকে নিয়ে আসেন।

ঢাক ঢোল পিটিয়ে সারা ঢাকা নগরীতে জানানো হয়।চুক্তি হয় জিঞ্জিরা থেকে বুড়িগঙ্গা পার হয়ে দেখাবেন জেনেট।কিন্তু নবাবের অন্দরমহলের পর্দানসীন নারীরা দাবী করলেন যে ওদিকে উড়লে আমরা কিভাবে দেখতে পাব?অতএব আগের প্ল্যান পরিবর্তন করে নবাব বললেন, তাহলে জিঞ্জিরা থেকে উড়ে আহসান মঞ্জিলের ছাদে এসে নামুক বেলুনওয়ালী।চুক্তির চেয়েও ৫ হাজার টাকা বেশি দিয়ে রাজি করানো হল।কিন্তু বাতাসের গতি সেমতে না থাকায় জেনেটের বেলুন গিয়ে আটকে গেল রমনার এক উঁচু ঝাউগাছে! এরপরের ঘটনা হৃদয়বিদারক, সেদিকে না যাই আর আমরা।

ভাবা যায়,মাত্র শ’খানেক বছরের তফাতে যোগাযোগের মাধ্যম কতটা উন্নত হয়ে গেছে,কতটা ছোট হয়ে এসেছে পৃথিবী।এখন চাইলেই বিমানে কয়েক ঘন্টায় চলে যাওয়া যায়!ট্র্যাভেল এবং ট্যুরিজম এখন কতটা আরামদায়ক।

✅কিন্তু এই পছন্দের জায়গায় ট্র্যাভেল করার সময় ছোট্ট বাচ্চার মায়েরা পড়েন বিপদে!কেনা বাজারের খাবার দিতে মন সায় দেয়না,আবার রান্না করা খাবার কতটা ভালো থাকবে তা নিয়েও বিড়ম্বনা।ঠিক এমন বিড়ম্বনা এড়াতে যদি বাসায় তৈরি,প্রিজারভেটিভ বিহীন কোন ইন্সট্যান্ট খাবার পাওয়া যায় তাহলে দারুণ হয় কিন্তু।হ্যাঁ,আমার তৈরি #ইন্সট্যান্টওটমিল এবং #ইন্সট্যান্টফ্রুটি_ওটমিল তেমনই একটা খাবার।ঝঞ্জাটহীন ঘরে তৈরি খাবার।
★ফ্লাস্কে ফুটন্ত গরম পানি রাখলেই চলবে।ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ফেটে মিক্স করে নিলেই তৈরি।
★সাথে যেকোন ফ্রুট পিওরি,চিজ,টক দই,চিয়া মিক্স করে খাওয়ানো যাবে। ৬+ মাস বয়স থেকে যেকেউ খেতে পারবে। ★Wholegrain রোলড ওটস,খেজুর এবং কালো কিশমিশ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি ফাইবার সমৃদ্ধ।পটি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
★ইন্সট্যান্ট ফ্রুটি ওটমিল ১+ বছর বয়স থেকে যেকেউ খেতে পারবে। এতে রোলড ওটস,খেজুরের পাশাপাশি ৩ রকম শুকনো ফ্রুটস এবং বাদাম ব্যবহার করা হয়েছে।বাদামে এলার্জি থাকলে উপরের খাবার নির্বাচন করা ভালো।

মায়েরাও ঘুরে বেড়ান পছন্দের জায়গাগুলোতে,মন খুলে।সুস্থ মা= সুস্থ শিশু=সুস্থ জাতি।সুস্থতা প্রয়োজন মানসিক এবং শারীরিক উভয়ই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.