আসলে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে চট করে জিনিস কিনে ঠকেছি বহুবার। আর শিশুখাদ্য নেব, সেক্ষেত্রে অন্তহীন ভাবনাশেষে একটা পেইজে অন্তহীন প্রশ্ন স্বত্বেও বার বার চোখ আটকে যাচ্ছিলো। এক হচ্ছে বিবরণ পড়ে আরেক হচ্ছে খাবার সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্যের সমাহার দেখে।তারও পরে মেসেঞ্জারে ব্যাপক প্রশ্নের পর ইলা আন্নি( আমার মেয়ে ডাকে ) আমাকে তাঁর কোন কিছু কিনতে নিরুৎসাহিত করলেন । ভাবলাম, একি ! এ কেমন বিক্রেতা গো, বিক্রি করতে চায় না। কারণ আমি বলেছিলাম আমার মেয়ের কনিস্টিপিশনের সমস্যা । অনেক কিছু ট্রাই করেও ফল পাইনি। তা শুনে তিনি নানা পরামর্শ সহ জানালেন, আপনি ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিতে পারেন, তবে আমি আপাতত কিছু নিতে বলবো না। না বলাতে আমি আরো আগ্রহী হয়ে উঠলাম।কিছুদিন অপেক্ষা করে প্রথমে আনলাম চিজ আর নুডুলস মশলা। ভালো লাগলো, তারপর আনলাম স্টেজ টু সিরিয়াল, এরপর আবার স্টেজ টু, নাট কুকিজ, বাটার, মিক্স ফ্রুট ওটস , মিক্স খিচুড়ি, তালমিশ্রী। মেয়ের কোন সমস্যা হয়নি । সে এমনিতেই খেতে ভালোবাসে। তবে সমস্যা যেটা হয়েছে মেয়েরটা আমিও খেয়ে মেয়ের মায়ের বকা ও নানা উপাধিতে (জনসমক্ষে বলবার মত নয়) ভূষিত হয়েছি। আমাদের চেটেপুটে খাওয়া দেখে যে কেউ ভাববে আমরা অনেকদিন খাইনি। তবে তার আরো একটা কারণ হচ্ছে আমরা আমাদের ছানাকে বাইরের কিছু খেতে দেইনি। তাই তালমিশ্রী মিশ্রিত খাবারগুলো খেয়ে সে পরমানন্দ লাভ করেছে। নাট কুকিজ টা তো এত ইউনিক যে মেয়ের মা বলেছে পরেরবার যেন একটু নিমের গুড়া মিশিয়ে বানান। কেননা ২ দিনেই যা এনেছি আমি আর মেয়ে মিলেই শেষ করে দিয়েছি। মেয়ে সকালে বায়না করে, ইলা আন্নি খেতে দাও । ভাগ্যিস! কাছে পেলে না জানি কি করে। খাবারের নামই ইলা আন্নি হয়ে গেছে। তারপর খেতে খেতে নিজেই বলে এটা ইলা আন্নি পাঠালো। মজা মজা, ভারী মজা। আমার মেয়ের সামনে ক্যামেরা ধরা যায় না তাই এসব সুন্দর মুহুর্তের স্বাদ কাউকে দিতে পারলাম না। স্বাদের সাথে পুষ্টির মেলবন্ধনটাই আসল স্বার্থকতা। আমি চাই, আমার কন্যার প্রিয় খাবারের কারিগর নতুন নতুন খাবার বানাক, গবেষণা করুক খাবার নিয়ে। বিদেশী ও দেশী উপকরণ মিলিয়ে ছোট্ট সোনাদের সুস্থ রাখতে সমৃদ্ধ করুক তাঁর ভান্ডার।
- Fresh food