৬+ মাস পূর্ণ শিশুর প্রথম সেফ ফ্রুট হিসেবে আপেল এবং কলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
ভালো উৎসের কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি একটা ফল হতে পারে দারুণ খাবার।গবেষকগণ আপেলের স্কিন ফেলে সিদ্ধ করে পিওরি বা কোন খাবারের সাথে মিক্স করে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।বলা হয় প্রতিদিন একটা আপেল গ্রহণ করে ডাক্তারকে দূরে রাখা যায়।অর্থ্যাৎ প্রতিদিন আপেল খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
ছোট শিশুদের জন্য আপেল বেশ উপাদেয় ফ্রুটস।কেননাঃ
আপেল উচ্চ ফাইবার সম্পন্ন।ফলে শিশুর ছোট্ট নাজুক পাকস্থলীতে হজমে সহায়তা করে।
এর Calcium এবং Magnesium শিশুর হাড়ের গঠন এবং সুরক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আপেলে উপস্থিত Pectin নামক ফাইবার রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমাট বাঁধতে বাধা প্রদান করে,ফলে হার্ট সুরক্ষিত রাখে এবং এর Flavonoids পরবর্তীতে হৃদরোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি কমায়।
গবেষণায় দেখা গেছে আপেল শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
এর Phenolic compounds শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন করে তোলে।
আপেলের সেলুলোজ এবং হেমিসেলুলোজ পাকস্থলীর উপকারি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শিশুদের নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাবারে সচেতনতা তৈরিই Ela’s kitchen এর লক্ষ্য।ব্যস্ততায় সবসময় আপেল ছিলে সিদ্ধ করে শিশুর খাবারে মিক্স করাটা একটু সময়সাপেক্ষ কাজ,তাই আমাদের নতুন আয়োজন #Apple_rice_cereal.
ড্রাই আপেলের সাথে পাহাড়ি জুমে উৎপাদিত নিরাপদ লাল বিন্নি চাল এবং সুগন্ধি পোলাও চালের সমন্বয়ে শিশুর খাবার হবে মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর।আপেল শুকনো হওয়ার ফলে এর থেকে ময়েশ্চার দূর হয়ে মিনারেলস এর ঘনত্ব হয়েছে বেশি,লাল বিন্নি চাল থেকে ভালো কার্বস,প্রোটিন,সেলেনিয়াম সহ অন্যান্য খনিজ এবং পোলাও চালের সুগন্ধ এবং স্বাদ যোগ করবে নতুন মাত্রা।সদ্য ৬ মাস পূর্ণ শিশুর খাবার শুরু হোক স্বাস্থ্যকর,মজাদার এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।
চাইলে খেজুর চিনি,তালমিছরি যোগ করা যেতে পারে।বয়স অনুযায়ী চিজ,বাদাম,চিয়া বীজও মিক্স করা যাবে।