আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলা অংশটা ভাতপ্রধান।তিনবেলায়ই কোন না কোন ভাবে ভাত খাওয়া হয়।
গবেষকরা বলছেন, ভাত পরিমিত খেতে।এবং পারলে সব বেলাতেই ভাত না খেয়ে ভাতের বিকল্প শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে।যেমনঃ রুটি,সিরিয়াল,হোলগ্রেইন ব্রেড,ওটস ইত্যাদি।
সময় বদলেছে,ধরণ বদলেছে।বিশ্ব থেকে বিশ্বায়নের প্রসার এখন।পুষ্টিবিদ এবং গবেষকগণ তাই প্রতিবেলায় ভাত খাওয়াকে পরিহার করে বা কমিয়ে ভিন্ন খাবার খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন।ভাত খুব অল্প পরিমানই অনেক বেশি ক্যালরি যোগায়।কিন্তু দেশে পরিমিত ভাত গ্রহণ করে এমন সংখ্যা খুবই কম।শিশুদের ক্ষেত্রে এবিষয়টা বেশি গুরুত্বপূর্ন।দেখা যায় তিন বেলাতেই ভাত খাওয়ালে শিশুর পেট বড় হয়ে যায়,শরীরে সঞ্চিত ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়,যা দীর্ঘমেয়াদে পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়।
শিশুকে সবরকম খাবারে অভ্যস্ত করা উচিত।পুষ্টিবিদগণ বলেন,বর্তমান সময়ে শিশুকে কোন নির্দিষ্ট খাবারে সীমাবদ্ধ না করে বরং যেকোন স্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত করা উচিত।সকালে বা দুপুরে ভাতই খেতে হবে এমন কোন কথা নেই।শিশু যেন বড় হয়ে সব পরিবেশে সবরকম স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে মানিয়ে নিতে পারে সে চেষ্টা করা।ভাতের বিকল্প হিসেবে অনেক রকম কার্বোহাইড্রেট আছে।খাবারে মডিফিকেশন, বৈচিত্র্য এনে শিশুকে খাওয়ানো উচিত।এতে একদিকে শিশু খাবারে আগ্রহী হবে,কন্টিনেন্টাল ফুডেও অভ্যস্ত হবে,আরেকদিকে স্বাস্থ্যকর তো বটেই।
আমার ছেলের জন্য দেশি মুরগি দিয়ে শাহী হালিম(১ম ছবিতে)।মশলাটা সামান্য দিয়েছি।হালিমকে আমাদের দেশে নাস্তা হিসেবে খেলেও এটা কিন্তু একটা ফুল মিল,উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন, কমপ্লিট প্রোটিন সম্পন্ন খাবার।ভাত,খিচুরি বা সেরেলাকই সবসময় খেতে হবে এমন কোন কথা নেই।