Blogs

শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সুপারফুড

👶Brain Food For Children/শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে খাবারঃ

শিশু বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদদের মতে,০-৩ বছর বয়সটা শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়।এসময়ে শিশুর মেধার বিকাশ সাধন হয়।একটা শিশু চিন্তা করতে শেখে,কোন নতুন জিনিসকে অন্যসব থেকে আলাদা করে চিনতে শেখে,কিভাবে একটা কাজ করা যায় তা ভাবতে শেখে।শিশুর চিন্তার এইযে গতিশীল পরিধি,তা এই বয়সটাতে গঠন হয়।অনেকের মতে আবার এসময়টা ০-৫ বছর বয়স পর্যন্ত।শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে খাবার,খেলাধুলা,তার প্রতিদিনের কর্মকান্ড অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে।আজ কথা বলব শিশুর মেধা বিকাশে খাবারের ভূমিকা নিয়ে।

বিশ্বে শিশুর মেধা বিকাশে সহায়ক বা ব্রেনের জন্য সুপারফুড হিসেবে মনে করা হয়ঃ

1⃣ডিমঃডিমে ভিটামিন সি ব্যতীত সকল ভিটামিন আছে।★Vitamin-A
★Vitamin-D
★Vitamin-E
★Iron
★Calcium
★Iodine
★Selenium
★Choline,এতে থাকা কোলিন শিশুর মেধা বিকাশের অন্যতম উপাদান।
সরাসরি ডিম সিদ্ধ দিতে পারেন,আবার ডিমের বিভিন্ন আইটেম করেও খাওয়াতে পারেন।যেমনঃ পুডিং,কেক,এগরোল,ডিম মেশানো কাবাব,কোপ্তা,ডিমের লাড্ডু ইত্যাদি।

✅বয়সভেদে ডিমঃ
শিশুর বয়স ৬-১১/১২ মাস পর্যন্ত সময়ে ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে তার কুসুমটা আলাদ করে নিয়ে, পানি বা সবজির সাথে ম্যাশ করে খাওয়ানো যাবে।খিচুরি বা কোন রান্নায় ডিমের কুসুম মিক্স করে রান্না করা যাবে।এসময়ে ডিমের সাদা অংশটা না খাওয়ানো ভালো, কেননা ডিমের সাদা অংশে কমপ্লেক্স প্রোটিন থাকে,যা শিশুর নাজুক পাকস্থলীতে স্যুট করতে সমস্যা হয়।তবে যদি শিশুর ডিমের সাদা অংশ স্যুট করে তবে দেওয়া যাবে,শর্ত হল ভালোভাবে কুক করতে হবে।

১১/১২ মাস বয়স থেকে ডিমের সাদা অংশ সহ পুরো ডিমই খাওয়ানো যাবে।Cholesterol,saturated fat যদি পরিমিত গ্রহণ করে,তাহলে প্রতিদিন একটা ডিম খাবার তালিকায় সহজেই রাখা যায়।১+ বছর বয়সের পর দিনে একটা ডিম যথেষ্ট।

Australian dietary guideline এর রেকমেন্ডেশন হিসেবে ১-৩ বছর বয়সের শিশুর প্রতিদিন ১৪ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন।একটা আস্ত ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়, যা কিনা এবয়সের শিশুদের Daily value এর প্রায় অর্ধেক। যদি কখনও একের অধিক ডিম দিতে হয় তাহলে বাকি মিল থেকে প্রোটিনের পোরশন কিছুটা কমিয়ে নেওয়া ভালো।কেননা অতিরিক্ত কোনকিছুই ভালো না,তা যত পুষ্টিকর বা স্বাস্থ্যকর হোক না কেন।

💥যা করবেন নাঃ
অনেকেই শিশু ডিম খেতে না চাইলে দুধের সাথে কাঁচা ডিম ব্লেন্ড করে খাওয়ান।এটা খুবই বিপদজনক শিশুদের জন্য।কাঁচা ডিমের আনকুকড প্রোটিন শিশুর নাজুক পাকস্থলীর জন্য উপযুক্ত নয়।বড়দেরই এটি হজমে সমস্যা হয়,শিশুদের কি হবে একটু ভেবে দেখুন।তাছাড়া খাবার শুধু খাওয়ালেই হবেনা,খাবারটা শিশুর পেটে গিয়ে কাজে লাগবে কিনা সেটাই মূল বিষয়।ডিমসহ কোন প্রকার প্রোটিন আধা সিদ্ধ করে খাওয়াবেন না।পুরোপুরি সিদ্ধ করে খাওয়াবেন।

✅Omega-3 ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিমঃ
বর্তমান সময়ে সাধারণ ডিমের পাশাপাশি Omega-3 সমৃদ্ধ ডিম বাজারজাত করছে বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠান। এই ডিমগুলো বেছে নিতে পারেন শিশুর খাবার তালিকার জন্য। বাড়ন্ত বয়সে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।

এছাড়াঃ
2⃣ওটমিল/রোলড ওটস
3⃣মাছ
4⃣বাদাম এবং বীজ
5⃣টকদই
6⃣ব্রকলি
7⃣সবুজ শাক সবজি
8⃣এভোকাডো
9⃣হোলগ্রেইন(যেমনঃ আস্ত গম,ওটস,মিলেট ইত্যাদি )

বাকিগুলো নিয়ে পরে আসছি।এবার ভেবে দেখুনতো এসব দিচ্ছেন কিনা শিশুকে?

Leave a Reply

Your email address will not be published.