Blogs

শিশুর খাবার নিয়ে মাত্রাছাড়া তাড়াহুড়া

শিশুর প্রতি বাবা মায়েরা চিন্তিত থাকবেন,এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।বিশেষকরে খাবারের বিষয় হলে কথাই নেই।কথা হল,সচেতনতা ভালো কিন্তু কোনকিছুতে অতিরিক্ত কনসার্ন থাকাটা মোটেও সুখকর কিছু নয়।ব্যালান্সড হওয়া জরুরী।

অনেক মা ই বাচ্চার ৬ মাস পূর্ণ হতে না হতেই বাটি-চামচ নিয়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দেন।এটুকুই না শুধু,প্রতিবেলায় হাফ বাটি পরিমাণ না খেলেই চিন্তার অথৈ সাগরে নিমজ্জিত হন মা।

🧊একটু ভেবে দেখুনতো,জন্মের পর থেকে যে শিশুটি খাবার বলতে শুধুমাত্র এতদিন দুধকে চিনে এসেছে,হঠাৎ করেই তাকে বাটি ভরে সলিড দিলে সে কিভাবে বিষয়টাতে কম্ফোর্ট ফিল করবে?বেচারা জানেই না ওটা খেতে হয় নাকি কি করতে হয়😃

৬+ মাস বয়স থেকে দুধের পাশাপাশি সুষম পরিপূরক খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।শুরুতেই বাটি ভরে খাওয়াতে কেউ বলেন নি।শিশুটাকে বুঝতে দিন,চিনতে দিন যে এই বস্তুটা খেতে হয়,এটা একটা খাবার।এবয়সে শুরুতে খাবেই ১-২ চা চামচ বা খুউউব বেশি হলে ১ টে.চামচ খাবার।এরপর দিনে দিনে খাবারের পরিমাণ অল্প অল্প করে বাড়াতে হবে।একবারেই ঠেসেঠুসে বাড়ানো যাবেনা।

🍓আপু,৬ মাস বয়স বাচ্চার,এক চামচ খাবারও মুখে নিতে চায়না,কি করলে খাবে?ওজন বাড়বে?

–সব বাচ্চাই ৬ মাসেই সলিড গ্রহনের উপযোগী হবে বিষয়টাতো এমন না।অনেক বাচ্চা আছে যারা ৪ মাস থেকেই সলিডে অভ্যস্ত হয়,হতে চায়,খেতে চায়।আবার অনেক বাচ্চা হয়তো ৭ মাসে গিয়ে সলিড গ্রহণ অল্প অল্প শুরু করে।এতে এত তাড়াহুড়া করারতো কিছু নেই,যদি বাচ্চার ওজন,এক্টিভিটি ঠিক থাকে এবং সুস্থ থাকে।একান্তই যদি সমস্যা মনে হয়,তাহলে একজন অভিজ্ঞ পেডিয়াট্রিকের কাছে নিয়ে গেলেই সব শঙ্কা দূর হয়ে যাবে,সমস্যা আছে কি নেই তাও জানা যাবে।😊

🤶শুধু খেয়াল রাখতে হবে যে সলিড খাবারটা দেওয়া হচ্ছে তা স্বাস্থ্যকর বা পুষ্টিকর কিনা।বেবীর স্যুট করছে কিনা।কোন খাবারে তার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা,এসব আইডেন্টিফাই করা।

বাচ্চার অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে খাবার খাওয়ালে বাচ্চার মনে খাবার বিষয়ে ভীতি তৈরি হবে।এরপর অনীহা তৈরি হবে।তখন কিন্তু আরেক ভয়ঙ্কর সময় পার করতে হবে,আরেকদিকে পুষ্টির ঘাটতিও থেকে যাবে।তাই শিশুর খাবার নিয়ে সচেতন হোন,কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত জোরাজুরি বা তাড়াহুড়া না,প্লিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.