Blogs

শিশুর খাবার এবং টকদই


শিশুর বয়স ৬+ মাস থেকেই সামান্য পরিমাণ(১/৪ চা চামচ) টকদই দেওয়া যায়।ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াতে হবে।

🥑কেন শিশুর খাবারে টকদই?❓
★টকদই ক্যালসিয়াম,ভিটামিন-ডি,ভিটামিন-এ,ভিটামিন-বি সহ পটাশিয়াম,ফলেট সমৃদ্ধ খাবার।
★টকদই এ উপস্থিত Lactobacillus acidophilus এবং Bifidobacterium bifidum পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং যেকোন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
★ এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিকস হজমে সাহায্য করে।ফলে পেট গরম হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
★টকদই উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
★এর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি হাড় সুগঠিত করে।

🥑শিশুকে কোন টকদই খাওয়ানো যাবে❓
ভালো ব্র্যান্ডের টকদই(বেবী ইয়োগার্ট) দেওয়া যেতে পারে।তবে বাসায় তৈরি করে দেওয়া সবচেয়ে ভালো।এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, যে দুধ থেকে টকদই তৈরি করা হবে তা যেন পাস্তুরাইজ করা হয়।নন-পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি টকদই/বাটার/ঘি কোনটাই শিশুকে খাওয়ানো ঠিক না।

এখন অনেক ফার্ম আছে যারা ভালো কাজ করছে,পাস্তুরিত করেই ভোক্তাকে সেবা দিচ্ছে।তাদের কাছ থেকেও দুধ সংগ্রহ করে বাসায় টকদই তৈরি করা যায়।তবে দুধ অবশ্যই পাস্তুরিত হতে হবে।

🍀গরুর দুধকে না এবং টকদইকে কেন হ্যাঁ❓

★গরুর দুধ কমপ্লেক্স প্রোটিন এবং মিনারেলস সমৃদ্ধ, যা শিশুর নাজুক পাকস্থলীর দ্বারা সহজে হজম যোগ্য নয় এবং কিডনির উপর প্রেশার ফেলে।ফলে শিশুরা এনিমিয়াতেও ভোগে।এজন্য এক বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে সরাসরি গরুর দুধ খাওয়াতে নিষেধ করা হয়।

★টকদই তৈরি হয় ফারমেন্টেশন পদ্ধতিতে।ফলে দুধের কমপ্লেক্স প্রোটিন এবং মিনারেলস সহজে হজম হওয়ার মত অবস্থায় থাকে টকদই এ।টক দই এ উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া বা একটিভ কালচারগুলো দুধের ল্যাকটোজ এবং প্রোটিনকে ভেঙে সিম্পল এবং সহজে হজমযোগ্য রূপ দেয়।একারনেই টকদইকে সেফ হিসেবে রেকমেন্ড করেন বিশেষজ্ঞরা।

শিশুর খাবার হোক নিরাপদ এবং সুষম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.