সাধারণত উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের ৬+মাস বয়স হলেই খাদ্য তালিকায় অল্ল পরিমাণে চিজ যোগ করে,কিন্তু ভৌগলিকতা এবং আবহাওয়ার কারনে আমাদের হজম ক্ষমতা ভিন্ন,তাই আমাদের দেশে শিশুর বয়স ৮+ মাস হলেই চিজ যোগ করা হয়।এটা প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভর করছে শিশুর হজম ক্ষমতার উপর।অনেকের ৭+/৮+ মাসেই স্যুট করে,আবার কিছু বাচ্চার স্যুট হতে ১+ বছর বা তারও বেশী সময় লাগে।
শিশুকে কোন চিজ খাওয়ানো যাবে
শিশুদের প্রথম চিজ হতে পারে সফট ক্রিম চিজ, কটেজ চিজ বা পনির,সেডার চিজ।এরপর বয়স বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য চিজ পছন্দ অনুযায়ী খাওয়া যাবে।এটাও নির্ভর করবে কোন চিজটা শিশুর স্যুট করছে তার উপর।কেননা প্রতিটি মানুষ যেমন ভিন্ন,তেমনি প্রতিটি শিশুও ভিন্ন।তবে শিশুকে যে চিজই খাওয়ানো হোক না কেন সবসময় খেয়াল করতে হবে চিজটা পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি কিনা।ঘরে তৈরি পনির বা কটেজ চিজ অনেক সময় অপাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি করা হয়।তাই শিশুকে খাওয়ানোর আগে চিজটা পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি কিনা চেক করে নিবেন।উন্নত দেশগুলোতে যেসব ভালো ব্র্যান্ড/ যারা চিজ,মাখন তৈরি করে থাকেন,তারা সাধারণত দুধকে পাস্তুরিত করার পর সেই দুধ থেকে ডেইরি প্রোডাক্ট তৈরি করেন,তাই দুধের জীবাণু সংক্রান্ত বিষয় থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
শিশুকে কি পরিমাণ চিজ খাওয়ানো যাবে
চিজ,মাখন,ঘি এসব উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবার বলে দৈনিক পরিমিত পরিমাণে গ্রহন করতে হবে।বড়দের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ দুগ্ধজাত খাবার।বিশেষকরে শিশুর জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চিজ/মাখন/ঘি/টক দই রাখা উচিত।
৮+ মাস বয়স থেকে এক বছর বয়সী শিশুর জন্য দৈনিক এক কিউব(১৫-১৬ গ্রাম) বা হাফ কিউব(৭-৮ গ্রাম) চিজ যথেষ্ট।অর্থ্যাৎ সর্বোচ্চ হাফ আউন্স।এর বেশি নয়।
১+ বছর থেকে ৪-৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে দৈনিক এক আউন্স(৩০-৩২ গ্রাম) অর্থ্যাৎ এক কিউব থেকে দুই কিউব চিজ যথেষ্ট।সাধারণত আমি আমার সন্তানকে Almarai(Saudi) ব্র্যান্ডের বেবী কিউব চিজটা দিই।এর একেকটা কিউব ১৫-১৬ গ্রামের(হাফ আউন্স) হয়।
কেন শিশুকে চিজ খাওয়াবেন
এতে আছে ভিটামিন-এ, ডি,ই সহ ক্যালসিয়াম এবং জিংক,যা আপনার শিশুর মেধা বিকাশে,বাড়ন্ত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে,হাড়গঠনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।দুধ বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স শিশুদের জন্য চিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এছাড়াও গর্ভবতী মা কিংবা দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্যও খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার।মোটকথা,যেকোন বয়সী মানুষের জন্য পরিমিত পরিমানে চিজ অনেক স্বাস্থ্যকর।মনে রাখতে হবে পরিমিত পরিমানে।
শিশুকে চিজ কিভাবে খাওয়ানো যাবে
মজাদার ক্রিমি,সফট চিজ শিশুকে ★বিভিন্ন সিরিয়াল★সুজি★ওটমিল★নুডুলস,পাস্তাতে মিক্স করে★ব্রেড-রুটি-টোস্টে স্প্রেড করে ★কোনকিছু ছাড়া শুধু চিজটিও খাওয়ানো যাবে।
কখন শিশুকে চিজ খাওয়ানো ঠিকনা
শিশুর যদি ডেইরি এলার্জি থাকে,অর্থ্যাৎ দুধ,চিজ,মাখন,ঘি থেকে শুরু করে দুগ্ধজাত কোন খাবারই স্যুট না করে, সেক্ষেত্রে শিশুকে ডেইরি প্রোডাক্ট খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।সেক্ষেত্রে পেডিয়াট্রিকের পরামর্শ নিতে হবে।খাবার হোক পরিমিত কিন্তু স্বাস্থ্যকর।#Cheese_Cream_cheese