Blogs

মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি


জন্মের পর থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর একমাত্র খাবারই হচ্ছে মাতৃদুগ্ধ। ৬ মাস পর থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধের পাশাপাশি অন্যান্য বাড়তি খাবার যোগ হয়।নিঃসন্দেহে মাতৃদুগ্ধের কোন বিকল্প নেই এবং মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির কোন ম্যাজিক্যাল অপশন নেই,বলা যায় এটা সম্পূর্ণ গডগিফ্টেট বস্তু।তবুও কিছু কিছু খাবার মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে বা সঠিক ফ্লো অব্যাহত রাখতে বেশ সাহায্য করে।সে খাবারগুলোই একনজরে উল্লেখ করব আজ।

1⃣কালোজিরা
2⃣মেথী,মৌরি,জিরা,ডিল এবং তিলবীজ
3⃣বার্লিঃবলা হয় মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধিতে বার্লি শস্য জাতীয় খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এতে থাকা বিটা-গ্লুকোন মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনকারী হরমোন প্রোল্যাকটিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।আস্ত বার্লি স্যুপ,প্রোটিন স্ন্যাকস বা সালাদে খাওয়া সবচেয়ে ভালো অপশন।তবে এর ফ্লেস্ক বা পাউডার রুটি,প্যানকেক বা পরিজ(হালুয়া) জাতীয় খাবারে মিক্স করেও খাওয়া যায়।

4⃣ওটস/ওটমিলঃ
বার্লির পরেই ওটস একমাত্র শস্য যাতে বিটাগ্লুকোনের পরিমাণ সর্বাধিক।স্টিলকাট ওটস বা রোলড ওটস বেস্ট।ওটমিলের সাথে দুধ,চিজ,বিভিন্ন ফল,ড্রাইফ্রুটস খাবারটিকে আরও পুষ্টিসমৃদ্ধ করে।

5️⃣Finger Millet/ রাগি শস্য
6️⃣বাদামি/লাল চাল
7️⃣করলা,কাঁচা পেঁপে,লাউ
8️⃣সজনে শাক,সবুজ শাক
9️⃣গাজর
🔟বিভিন্ন ড্রাইফ্রুটস(খেজুর,বাদাম,এপ্রিকট ইত্যাদি)

এসব হচ্ছে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী খাবার।এছাড়াও আছে–
★দুগ্ধজাতীয় খাবার
★তরমুজ
★মসুর ডাল,ছোলার ডাল
★তুলসী,বেসিল
★টফু
★মাছ
★চিকেন
★মিস্টি আলু
★রঙ্গিন সবজি ইত্যাদি।

এবং সাথে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।পরিমিত বিশ্রাম,মানসিক চাপমুক্ত থাকা এক্ষেত্রে সহায়ক।

✅যেসব খাবার পরিহার করা উচিতঃ
★এলকোহল
★চা,কফি
★পার্সলে/ধনিয়াপাতা
★এলার্জি হয় এমন যেকোন খাবার।
★এক্সট্রা কালার, ফ্লেভার এবং অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার।

ছবিতে রোলড ওটস দিয়ে রান্না ওটস খিচুরি।পুষ্টিকর এবং মজাদার।মা,শিশু,যেকোন বয়সীদের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.