বয়সঃ ৭+ মাস থেকে এডাল্ট।
শিশু খাবারে ব্রাউন বা লাল ভার্সন আমি বিশেষভাবে পছন্দ করি।এখনকার দিনে হাইলি প্রসেসড শস্যে পুষ্টিগুণ খুবই নিম্ন মাত্রায় থাকে।দেখতে ঝকঝকে হলেও পুষ্টিমান প্রায় শূন্যের কোঠায়।
বাদাম সুজিতে আমি ব্যবহার করেছিঃ
★ঢেঁকিছাটা লাল বিন্নি চাল
★সুগন্ধি, নিরাপদ পোলাও চাল
★কাঠবাদাম এবং
★কাজুবাদাম।
উপকরণ সমূহের পুষ্টিগুণঃ
১.লাল বিন্নি চালঃ
★লাল চালে রয়েছে ফাইটিক এসিড, ফাইবার এবং এসেনসিয়াল পলিফেনলস। এটি এমন একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট যা দেহে সুগারের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়,এবং ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত রাখে।
★এটি ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যা শিশুর হাড়কে শক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
★এটি ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যা আমাদের হাড়কে শক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়ক।এটি ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যা আমাদের হাড়কে শক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়ক।
★লাল চাল রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ধরনের ব্লক তৈরি হতে দেয় না। এতে আরও আছে সেলেনিয়াম,যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। এটি হাইপারটনেশন এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
★উচ্চ ফাইবার থাকায় এটি হজমে সহায়ক এবং গ্যাস শোষণ প্রতিরোধ করে। ফলে হজম প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালি করে তোলে।
★এন্টিঅক্সিডেন্টস,ভিটামিন-বি,ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ।
২.কাজুবাদাম/Cashew nut
★কাজুবাদাম হার্ট বান্ধব,অর্থ্যাৎ হার্টের জন্য এই বাদাম খুবই উপকারি।
★বাদামের মাঝে কাজুবাদামেই রয়েছে সর্বোচ্চ পরিমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।কাজুবাদামকে ভিটামিন ক্যাপসুলও বলা হয়।
★প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামক উপাদান থাকায় কাজু বাদাম ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধের সাথে টিউমার কোষও প্রতিরোধ করে।
★এর ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
★কাজু বাদামে উপস্থিত ‘ওলিসিক’ নামক মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটিএসিড শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে।
★এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কপার,যা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়া করে শক্ত ও মজবুত এবং চুলের কালো রং কে দীর্ঘস্থায়ী করতেও সহায়তা করে।
★ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করে।
★শরীরকে ইনফেকশন থেকে দূরে রাখে।
৩.কাঠবাদাম/Almond
★মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে কাঠবাদামের জুরি মেলা ভার।ভিটামিন-ই এবং পটাশিয়ামের প্রাচুর্যতায় স্মৃতিশক্তি বাড়ে।একে ‘ব্রেন ফুড’ও বলা হয়।
★উচ্চ প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত খাবার গ্রহন থেকে বিরত রাখে।
★শরীরে এনার্জি লেভেল ঠিক রাখে।
★কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রন করে হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
★উচ্চ ফাইবার থাকায় হজমে সহায়তা করে।
★ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করে।
★এতে রয়েছে ভিটামিন ই,এ,বি১ এবং বি৬ যা চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে,ত্বকের বলিরেখা দূর করে।
★কাঠবাদামে চীনাবাদামের চেয়ে ৩ গ্রাম বেশি মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি।
★কাঠবাদাম ফ্ল্যাভনয়েড এবং ভিটামিন-ই এর অন্যতম উৎস।
★সতর্কতাঃ
এই খাবার খাওয়ানোর পূর্বে আপনার শিশুকে খাবারের প্রতিটি উপকরণ আলাদাভাবে অল্প খাইয়ে টেস্ট করে নিন যে শিশুর পেটে স্যুট করছে কিনা।খাবারটি খাওয়ানোর দুই ঘন্টার মধ্যে কোনরকম এলার্জি,র্যাশ,পাতলা টয়লেট হলে খাবারটি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।