Blogs

জানেন কি গুড়া মশলার আদি কথা

১৮৪৬ সালের কথা।তখনও দুই বাংলার ভাগ হয়নি।হুগলিতে জন্ম নেওয়া এক তরুণ কলকাতার সুতানুটিতে এসে দোকান শুরু করলেন।মশলার দোকান।তরুণের নাম শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত।যে মশলাগুলো বস্তাভরে আসতো সেগুলোকে ভালোভাবে বাছাই করে তারপর ক্রেতার হাতে তুলে দিতেন কাগজের ঠোঙায়।

প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি হেঁসেলে মশলার চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে।মশলার স্বাদ,ঘ্রান,মান ভালো না হলে গিন্নিদের মুখ কালো হয়ে যেত।প্রতিবেলার রান্নায় ব্যবহার হত তাজা,টাটকা বাঁটা মশলা।শিলপাটা,হামানদিস্তায় মশলা পেষা হত।

কৃষ্ণচন্দ্র দত্তের বংশধর নটোবর দত্তের মৃত্যুর পর দোকানের দায়িত্ব আসে শ্রী যুধিষ্ঠির দত্তের উপর।খুব ছেলেবেলাতেই ব্যবসায়ে হাতে খড়ি হয়।তিনিই বাঙালি রান্নাঘরে আমাদের নারীদের “মশলা বাঁটার” কষ্টকর কাজ সহজ করতে এবং বেশ খানিকটা সময় বাঁচিয়ে দিতে তৈরি করেন প্রথম গুড়া মশলা। দোকানে পাথরের হামান দিস্তায় গুড়া করা হত মশলা,কেননা তখন মশলা গুড়া করার কোন মেশিন সেখানে ছিলনা বা আদৌ এ বঙ্গে আসেনি।অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার গুড়া মশলার চাহিদা বাড়তে থাকে।কম খাটুনি,কম সময়ে রান্নাকে সুস্বাদু করতে তার এই গুড়া মশলা ছিল রীতিমত অভাবনীয় বস্তু।তার সেই গুড়া মশলার নাম দেন Cookme.যা ভারতে ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ঘরে ঘরে মাথা উঁচু করে ঠাঁই নিয়েছে।তাদের ব্র্যান্ডের একমাত্র মোটো হলঃ সর্বোচ্চ মানের মান।

তাদের মত হতে পারব কিনা জানিনা,তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সাধ্যমত,যাতে যে আস্ত মশলাটা গুড়া করে আপনাদের কাছে পাঠাচ্ছি তাতে মশলা ভিন্ন কোন বস্তু যেন না থাকে।হয়তোবা অদূর ভবিষ্যতে খাঁটি মান নিয়ে আমরাও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।

কৃষক পর্যায় থেকে অল্প পরিমাণ আস্ত মশলা সংগ্রহের চেষ্টা করেছি।এবার চাষের সময় সার কোনটা বা কি ব্যবহার করা হচ্ছে এবিষয়টা আমার হাতে না।তবে সংগ্রহ করা আস্ত মশলাটা নিজের বাসায় ধুয়ে,পরিস্কার এবং বাঁছাই করে,শুকিয়ে তারপর গুড়া করছি।এই প্রসেসটুকুতে এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে মশলার গুড়াতে আমার জানামতে মশলা ব্যতীত অন্য কিছু মিক্স করছিনা।জাস্ট আস্ত মশলাটা গুড়া করে,ছাঁকনিতে ছেঁকে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।
কোনদিন হয়তো নিজের জমিতে,একদম নিজস্ব তত্ত্বাবধানে মশলার চাষ করে সেটা পৌঁছে দিতে পারব সবার কাছে।😊

দেশী হলুদ,প্রিমিয়াম দেশী মরিচ,ধনিয়া এবং তুরস্কের প্রিমিয়াম জিরার গুড়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published.