Blogs

গরমে শিশুর খাবারে তরমুজ

গ্রীষ্মের তাপদাহ শুরু হয়ে গেছে।একে দিনের দৈর্ঘ্য বেশি,তারউপর সারাদিন প্রচন্ড গরম।গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি এবং লবণ বের হয়ে যায়।তাই এই গরমে পর্যাপ্ত পানি এবং পানীয় পান করা উচিত।

বাচ্চারা এসময় পানি শূন্যতায় বেশি ভোগে।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা বেশি থাকে।বাচ্চাদের যেন পানিশূন্যতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।সারাদিনে অল্প অল্প করে বারবার পানি বা পানীয় দেওয়া উচিত।

Watermelon/ তরমুজ এই কড়া রোদের সময়ে আশীর্বাদ। তরমুজে প্রায় ৯২% ভাগই থাকে পানি।
★লাল রঙের তরমুজে থাকে প্রচুর Lycopene,যা ভিটামিন-এ তে ডাইভার্ট হয়ে চোঁখের সুরক্ষা দান করে।★এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন-সি এবং আয়রন।ভিটামিন-সি থাকায় তরমুজে থাকা আয়রন শরীর কর্তৃক সহজে শোষিত হয়।
★Cytruline নামক এমিনো এসিড হার্টের সুরক্ষা দান করে।
★প্রচুর পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল এই তরমুজ।গরমে শরীরে লবণ এবং পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
★ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকায় হাড়ের সুরক্ষা প্রদান করে।
★ফাইবার থাকায় এটি হজমে সহায়তা করে।

✅শিশুদের তরমুজ দেওয়া যাবে ❓
৬+ মাস বয়স পূর্ণ হওয়ার পর বা শিশুর বয়স সলিড খাবার গ্রহনের উপযুক্ত হওয়ার পর শিশুকে সামান্য পরিমাণে তরমুজ দেওয়া যাবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে শিশুর যেন গলায় আটকে না যায়।

★শিশু যদি চিবিয়ে খেতে শিখে তবে একদম ছোট ছোট পিস করে তরমুজ দেওয়া যাবে, তবে সাথে থেকে খেয়াল রাখতে হবে যেন গলায় আটকে না যায়।
★যদি চিবিয়ে খাওয়ার বয়স না হয় বা না শেখে তাহলে সামান্য তরমুজ হাতে চিপে তার রসও পান করানো যাবে।
★তরমুজের পিওরি করে দেওয়া যাবে।
★ব্লেন্ডারে তরমুজের জ্যুস করে ছেঁকে দেওয়া যাবে।
★তরমুজের বীজ ছাড়িয়ে লম্বা শেপ করে কেটে ফিঙ্গারফুড হিসেবে দেওয়া যাবে।

✅তরমুজের পুষ্টিগুণঃ
প্রতি 100 g তরমুজে পুষ্টিমাত্রা-

পানি – 91.45g প্রোটিন – 0.61g
কার্বোহাইড্রেট – 7.55g এনার্জি – 30kcal
ফাইবার – 0.4g থায়ামিন – 0.033mg
ভিটামিন বি-৬ – 0.045mg ভিটামিন-এ 0.17mg
ভিটামিন -কে 0.1ug ভিটামিন-সি 8.1mg
নায়াসিন 0.178mg ফোলেট 3ug
ভিটামিন-এ 0.05mg আয়রণ 0.24mg
ফসফরাস 112mg জিঙ্ক 0.1mg
ক্যালসিয়াম 7mg ম্যাগনেসিয়াম 11mg

✅তরমুজে কি শিশুদের এলার্জি হয়❓
তরমুজে শিশুদের কমন এলার্জেন নেই,বরং এটি নিরাপদ।তবে যেকোন খাবারেই যে কারও এলার্জি হতে পারে,এটা রেয়ার কেস।এছাড়া তরমুজের গায়ে লেগে থাকা বিভিন্ন পোলেন থেকেও এলার্জি হতে পারে।এর এসিডিক প্রভা থাকে,ফলে তরমুজ পরিমাণে বেশি খেলেও এলার্জি হতে পারে,ডায়রিয়াও হতে পারে। তাই যেকোন নতুন খাবারই শিশুদেরকে Three Day Test ফলো করে দিতে হবে।তাহলে এলার্জি এবং ফুড পয়জনিং জনিত ভোগান্তিও কম হবে।পরিমিত পরিমাণে তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

✅বিঃদ্রঃ
★আগে থেকে কেটে রাখা,ফ্রোজেন বা ক্যানড তরমুজ শিশুদের দিবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.