চিয়া বীজ/ Chia seed:
ক্ষুদে আকৃতির কালচে/ছাই রঙা এই বীজটি তার স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বর্তমান বিশ্বের সুপারফুড গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।যাদের বা যেসব বেবীর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের জন্য চিয়া বীজ দারুণ সহায়ক।
✅চলুন জেনে নিই এই ক্ষুদে শস্যবীজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কেঃ
★চিয়া বীজের অন্যতম প্রধান গুণ হল এটি Omega-3 ফ্যাডি এসিড সমৃদ্ধ। ফলে শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এবং বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
★এতে আছে Soluble fibre,যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
★প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া বীজ থেকে দৈনিক চাহিদার ৪২% আয়রণ পাওয়া যায়।
★ক্যালসিয়াম,জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় পেশী গঠনে কাজ করে।
★ভিটামিন-বি৬ সমৃদ্ধ,এতে ভিটামিন-কে উপস্থিত আছে।
★চিয়া বীজে Anti-Aging গুণাগুণ থাকায় ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।
★সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
✅শিশুর খাবারে চিয়া বীজঃ
চিয়া বীজ ৬+ মাস বয়স থেকেই শিশুর খাবারে পরিমিত পরিমাণে এড করা যায়।তবে ১ বছরের আগে ড্রাই চিয়া দেওয়া যাবেনা।তাহলে কিভাবে খাওয়াতে হবে❓
★যেকোন খাবার,সুজি,সিরিয়াল রান্নার পর মিক্স করে।
★ওটমিলের সাথে মিক্স করে।
★কুসকুস,পাস্তার সাথে।
★ফ্রুটস জ্যুস/রস,ফ্রুটস পিওরি,স্মুদির সাথে।
★সবজি পিওরির সাথে।
★টকদই বা চিজের সাথে।
★নাটস বাটারের সাথে।
★কেক,পুডিং এর সাথে।
★সালাদের সাথে।
★দুধে মিক্স করে।(২+ বছর)
★যেকোন ডেজার্টের সাথে মিক্স করে।
✅বিঃ দ্রঃ
★ওটস/ওটমিল,চিয়া,ফ্রুটস,টকদই/চিজের মিশ্রণ খাবার দারুণ সবার জন্যই।
✅সতর্কতাঃ
★এটি যেহেতু ফুল ফাইবার শস্যবীজ,তাই অতিরিক্ত কনজিউম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
★কিডনি রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন,কেননা এতে অক্সালেট আছে।
সুস্থ স্বাভাবিক যেকোন মানুষের জন্য (ছোট,বড়) চিয়া বীজ দারুণ একটি শস্যবীজ।
(চিয়া অনেক পাওয়া গেলেও এর কোয়ালিটি অনেক।অনেকেই কম দামে নিম্ন মানের চিয়া কিনে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।তাই মূল্য নিয়ে দর কষাকষি করে সময় নষ্ট করবেন না।)